প্রিয় শুভাকাঙ্ক্ষি, আশা করছি ভালো আছেন, সুস্থ আছেন। আপনারা অবগত আছেন যে, গত ৪ বছর ধরে ভিন্ন দৃষ্টি কতৃক আয়োজিত হয়ে আছসে "ভিন্নদৃষ্টি'র ঈদ আনন্দ" নামের ইভেন্ট। ২০১৮ ও ২০১৯ সালে আমদের বাছাইকৃত পরিবার গুলোকে সম্পূর্ণভাবে ঈদের আনন্দ দেওয়ার জন্য "ভিন্নদৃষ্টি'র খুশির বক্স" বিতরন করা হয়। সেখানে পরিবারের সবার পোশাক সহ ঈদের খাবার পর্যন্ত ছিল। কিন্তু গত বছর থেকে পরিস্থিতি ভিন্ন। বর্তমানে পোশাকের চেয়ে খেয়ে বেঁচে থাকাটা জরুরী হয়ে পরেছে। তাই টিম ভিন্ন দৃষ্টি গত বছর "ভিন্নদৃষ্টি'র পাঠশালা" এর ৫২ জন শিক্ষার্থীর ৫২ টি পরিবার সহ মোট ৫৬টি পরিবারে ঈদের বাজার সহ ৭ দিনের বাজার ঈদ উপহার হিসেবে দিয়েছি। এইবারও আমরা তেমন কিছু করতে চাচ্ছি। গতবারের মত এইবার আমাদের উপহার সামগ্রীর মধ্যে থাকবেঃ চাল - ১০ কেজি আলু - ৩ কেজি ডাল - ১ কেজি পিয়াজ - ১ কেজি তেল - ১ কেজি ঈদের জন্যঃ পোলাও চাল - ১ কেজি সেমাই - ১ কেজি চিনি - ১ কেজি দুধ, বাদাম, কিসমিস প্রতিটি পরিবারের জন্য খরচ হবে প্রায় ১১০০ টাকা। বরাবরের মত এইবারো আমরা আপনাদের কাছে সহযোগিতা চাচ্ছি। আমরা সবাই বর্তমান পরিস্থিতি বুঝতে পারছি। কিন্তু এইটাও সত্য "ছোট্ট ছোট্ট বালুকণা বিন্দু বিন্দু জল, গড়ে তোলে মহাদেশ সাগর অতল।" আসুন সবার সহযোগিতায় সমাজের পিছিয়ে থাকা সুবিধাবঞ্চিত মানুষের মুখে একটু হাসি ফোটই। ঈদের আনন্দ তাদের সাথেই ভাগাভাগি করি। ইভেন্ট সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে বা সাহায্য পাঠাতে যোগাযোগ করুনঃ Rinku Roy Orko: 01952462008 Event Link https://fb.me/e/cQKlrjiDb।।
আজ ১৪ জুন, বিশ্ব রক্তদাতা দিবস। যাঁরা স্বেচ্ছায় ও বিনামূল্যে রক্তদান করে লাখ লাখ মানুষের প্রাণ বাঁচাচ্ছেন, তাঁদেরসহ সাধারণ জনগণকে রক্তদানে উৎসাহিত করার লক্ষ্যে দিবসটি পালন করা হয়।
শারীরিকভাবে সুস্থ ১৮ থেকে ৫৭ বছর বয়সের মধ্যে কোনো পুরুষ ও নারী রক্ত দিতে পারবে। এ ক্ষেত্র পুরুষের ওজন থাকতে হবে অন্তত ৪৮ কেজি এবং নারীর ওজন অন্তত ৪৫ কেজি। ১২০ দিন পর পর, অর্থাৎ চার মাস পর পর রক্ত দেওয়া যাবে।
রক্তদানে কোনো সমস্যা হয় না। কেননা, একজন মানুষের শরীরে সাড়ে চার থেকে ছয় লিটার রক্ত থাকে। রক্তদান করা হয় সাধারণত ২৫০ থেকে ৪০০ মিলিলিটার। এটি শরীরে থাকা মোট রক্তের মাত্র অল্প ভাগ।
দেশে বছরে আট থেকে নয় লাখ ব্যাগ রক্তের চাহিদা থাকে। রক্ত সংগ্রহ করা হয় ছয় থেকে সাড়ে ছয় লাখ ব্যাগ। বাকি তিন লাখ ব্যাগ রক্ত সংগ্রহের জন্য প্রয়োজন জনগণকে সচেতন করা।
মানবদেহে রক্তের প্রয়োজন কেন?
মানবদেহে রক্তের কাজ কোষের ভেতর অক্সিজেন ও পুষ্টি উপাদান সরবরাহ করে বর্জ্য পদার্থ ও কার্বন ডাইঅক্সাইড বের করা। এ ছাড়া হরমোন-এনজাইম জাতীয় উপাদান বহন, দেহের তাপ ও পানির সমতা সংরক্ষণ, এসিড-বেইসের ভারসাম্য রক্ষা, রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ, দেহের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থায় অংশগ্রহণ ইত্যাদি।
রক্তদানের উপকার
১. একজনের দানকৃত রক্ত আরেকজন মানুষের জীবন বাঁচাবে।
২. রক্তদান স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত উপকারী। বছরে তিনবার রক্তদান আপনার শরীরে লোহিত কণিকাগুলোর প্রাণবন্ততা বাড়িয়ে তোলার সঙ্গে সঙ্গে নতুন কণিকা তৈরির হার বাড়িয়ে দেয়। নিয়মিত রক্তদান করলে হৃদরোগ ও হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি অনেকটাই কমে যায়।
৩. গবেষণায় দেখা যায়, যাঁরা বছরে দুবার রক্ত দেন, অন্যদের তুলনায় তাঁদের ক্যানসারে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি কম থাকে। বিশেষ করে ফুসফুস, লিভার, কোলন, পাকস্থলী ও গলার ক্যানসারের ঝুঁকি নিয়মিত রক্তদাতাদের ক্ষেত্রে অনেক কম দেখা গেছে।
৪. নিয়মিত স্বেচ্ছায় রক্তদানের মাধ্যমে নিজের শরীরে বড় কোনো রোগ আছে কি না, সেটি বিনা খরচে জানা যায়। যেমন : হেপাটাইটিস-বি, হেপাটাইটিস-সি, সিফিলিস, এইচআইভি (এইডস) ইত্যাদি।
৫. রক্ত দিলে ৬৫০ ক্যালরি করে শক্তি খরচ হয়। অর্থাৎ ওজন কমানোর ক্ষেত্রেও এটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।
৬. রক্তদান ধর্মীয় দিক থেকে পুণ্যের বা সওয়াবের কাজ। একজন মানুষের জীবন বাঁচানো সমগ্র মানবজাতির জীবন বাঁচানোর মতো মহান কাজ।
ভিন্ন দৃষ্টি এর পক্ষ থেকে সকল রক্তদাতা কে জানাই শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। প্রত্যেকটি রক্তদাতা যেন তার সামর্থ্য অনুযায়ী রক্তদান করতে পারে এই প্রার্থনায় করি।
Subscribe to:
Post Comments
(
Atom
)
No comments